আসলামু আলাইকুম আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ঋণ মুক্তির দোয়া। যে দোয়া পড়লে পাহাড় পরিমাণ ঋণও শোধ হয়, ঋণ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝা বহন করা অনুচিত। রাসুল (সা.) দ্রুত ঋণ পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
ঋণ থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন দোয়া ও আমল রয়েছে। নিম্নে একটি দোয়া উল্লেখ করা হলো-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ
‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক’।
অর্থ
হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালালের মাধ্যমে আমাকে পরিতুষ্ট করে হারাম থেকে বিরত রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহের মাধ্যমে আপনি ছাড়া অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন।
অন্য হাদিসে আরেকটি দোয়ার কথাও এসেছে।
তা হলো-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দালাইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
অর্থ :
হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, এবং অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
হাদিস :
আলি বিন আবু তালিব (রা.) বর্ণনা করেছেন, তার কাছে এক চুক্তিবদ্ধ দাস এসে বলল, আমি চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে সহযোগিতা করুন।
তখন তিনি বলেছেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না যা রাসুল (সা.) আমাকে শিখিয়েছেন? যদি তোমার ওপর পাহাড় পরিমাণ ঋণও থাকে আল্লাহ তা তোমার পক্ষ থেকে শোধ করবেন। তুমি এই (প্রথম) দোয়াটি পড়বে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৩)
অবশেষে:
আল্লাহ তায়াআলা সকল মুসলিম উম্মাহকে নামাজে মনোযোগী হওয়ার তাওফী দান করুন। আমাকে আড়ম্বর, অলসতা, অমনোযোগিতা থেকে মুক্তি দিন। আমিন!